রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ
পর্যটকদের জন্য খুলছে দেশের বিনোদনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্পট সাজেক ভ্যালি। প্রায় দেড় মাস বন্ধ ছিল সাজেক ভ্রমণে। ইতোমধ্যে পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত সাজেক কটেজ মালিকরা। ২০শে সেপ্টেম্বর পর্যটকরা শেষবারের মতো সাজেক প্রবেশ করেছিল। এরপর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় নিরাপত্তার প্রশ্নে সাজেক ভ্রমনে পর্যটকদের কে নিরুৎসাহিত করে জেলা প্রশাসন।
গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙামাটিতে পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা ছিল। ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ বিধি-নিষেধ তুলে নেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক। কিন্তু সাজেকে যেতে হয় খাগড়াছড়ির রাস্তা ব্যবহার করে। তাই মঙ্গলবার (৫ই নভেম্বর) থেকে পর্যটকরা সাজেক যেতে পারবেন। কারণ এদিনই খুলে দেওয়া হচ্ছে খাগড়াছড়ির পর্যটন বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
সাজেক পর্যটক সংশ্লিষ্টরা জানান, সাজেকে ১১৬টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ এবং ১৪টির ও বেশি রেস্তোঁরা রয়েছে। প্রায় দেড় মাস সাজেকে পর্যটক ভ্রমন না করায় কোনো বেচা বিক্রি ছিল না। ব্যবসায়ীরা অনেক টাকা লোকসান গুণছেন।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ বলেন, দেড় মাসে তাদের প্রায় ৮-৯ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। পর্যটকরা আসলে লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মামুন নামের এক যুবককে হত্যার পর খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা এবং রাঙামাটি শহরে সাম্প্রদায়িক সংর্ঘষ ছড়িয়ে পড়লে এই দুই জেলায় চারজন নিহত হন। এতে আহত হয়েছিলো শতাধিক। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো ঘরবাড়ি, দোকানপাট, যানবাহন। লুটপাত ও ভাংচুর করা হয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিন পার্বত্য জেলায় গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একটানা ২৪ দিন পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছিলো স্থানীয় প্রশাসন।
তবে বুধবার (৩০ অক্টোবর) প্রশাসন ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটি এবং ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়িতে পর্যটকরা বিনা বাধায় ভ্রমণ করতে পারবেন বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।