মেহেদী ইমামঃ
“আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাইলে কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবেনা” বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তিকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার দুপুরে রাঙামাটি রিজিয়নের প্রান্তিক মাল্টিপারপাস হল রুমের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে যে ঘটনা ঘটেছে এর সুষ্ঠ তদন্তের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বলেন, “রাঙামাটিতে আসার সময় দেওয়ালে দেওয়ালে আমরা যে গ্রাফিতি দেখতে পেয়েছি সেই গ্রাফিতির যে বার্তা সেই বার্তা শুধু পার্বত্যবাসী নয় সারা দেশ দেখেছে। সে বার্তা সম্প্রীতির কথা বলে। সেই বার্তা কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেছে। এখানে সকলের বক্তব্যে যে কথাটি উঠে এসেছে তা হলো আমরা সম্প্রীতি চাই। কিন্তু কেন যেন কোথাও কোন ছন্দ পতন হচ্ছে। এই ছন্দ পতনের ব্যাপারে প্রত্যেকের মুখে একটি শব্দ উচ্চারণ হয়েছে আর তা হলো ষড়যন্ত্র। আমাদের এই সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করা হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।”
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ, ডিজিএফআই, এনএসআই প্রধান, আইজিপি, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসি, বিভাগীয় কমিশনার সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় রাঙামাটি রিজিয়নের প্রান্তিক মাল্টিপারপাস হল রুমে সাম্প্রতিক পার্বত্যাঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন অন্তবর্তিকালীন সরকারের এই তিন উপদেষ্টা।
এদিকে খাগড়াছড়ির পাহাড়ি-বাঙালির সংঘর্ষের রেশ পার্বত্য জেলা রাঙামাটি শহরে ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সরজমিনে পর্যবেক্ষণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি সফর কে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন পাহাড়ের সুশিল সমাজ।